সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবার্তা এক যুগেও বাস্তবায়ন করেনি বাংলাদেশ

এফটিসি’তে প্রথম স্বাক্ষরকারী দেশ হয়েও তামাকজাতদ্রব্যের মোড়ক, কার্টন বা কৌটার উভয় পার্শ্বে ছবি সংবলিত স্বাস্থ্য সতর্কবার্তা এক যুগেও বাস্তবায়ন করেনি বাংলাদেশ। এই সুযোগে তামাক কোম্পানিগুলো জনস্বাস্থ্যের ওপর মারাত্মক হুমকি সৃষ্টি করেছে। তবে দেরিতে হলেও পদক্ষেপ নিয়েছে বাংলাদেশ। আগামী বছরের ১৫ মার্চ থেকে তামাকজাতপণ্যের মোড়কে স্বাস্থ্য সতর্কতার ছবি ব্যবহার বাধ্যতামূলক হচ্ছে। এই নির্দেশ দিয়ে গত ১৫ মার্চ গেজেট প্রকাশ করেছে সরকার।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (জনস্বাস্থ্য ও বিশ্বস্বাস্থ্য) রোকসানা কাদের বলেন, বিধিমালার গেজেট দেরিতে হলেও জারি করা হয়েছে। গেজেট জারির দিন থেকেই এটি কার্যকর হবে। তবে বিধিমালাটি চূড়ান্ত না হওয়ায় ধূমপান ও তামাকজাতদ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন-২০১৩ পুরোপুরি বাস্তবায়ন করা যাচ্ছিল না বলে উল্লেখ করেন তিনি। রোকসানা কাদের বলেন, এটি জারি হওয়ায় আইন বাস্তবায়নে আর কোনো বাধা নেই।
প্রসঙ্গত, এর আগে ২০০৫ সালের আইন সংশোধন করে ধূমপান ও তামাকজাতদ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০১৩ সালের ২৯ এপ্রিল জাতীয় সংসদে পাস হয়।
এদিকে, গেজেট প্রকাশ হওয়ায় নির্দিষ্ট সময়ের পর এই আইন লঙ্ঘন করলে অনূর্ধ্ব ৬ মাস বিনাশ্রম কারাদ- বা অনধিক দুই লাখ টাকা অর্থদ- বা উভয় দ-ের বিধান রয়েছে। একই সঙ্গে কোনো ব্যক্তি দ্বিতীয়বার একই ধরনের অপরাধ করলে পর্যায়ক্রমিকভাবে দ্বিগুণ হারে দ-িত হবেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সিগারেট-বিড়ির প্যাকেটের মোড়কে ছবি সংবলিত সতর্কবাণী প্রবর্তন হলে ধূমপান কমাতে সহায়ক হবে। কারণ যারা লিখতে পড়তে পারেন না, তারা ছবি দেখে ধূমপানের ক্ষতিকর দিকটি উপলব্ধি করতে পারবেন। কথায় আছে, হাজার শব্দের চেয়ে একটি ছবি অনেক শক্তিশালী। তবে ছবি হতে হবে স্পষ্ট ও স্বচ্ছ। ছবিকে অবশ্যই বক্তব্যধর্মী হতে হবে। বর্তমানে সিগারেট, বিড়ির প্যাকেটের মোড়কে শুধু সতর্কবাণী রয়েছে। তাদের মতে, এফসিটিসি’তে স্বাক্ষর করার পর ইতোমধ্যে এক যুগ অতিবাহিত হয়েছে। এই সময়ে তামাক ও ধূমপানবিরোধী কার্যক্রম জোরদার হলেও এর ব্যবহারকে নিরুৎসাহিতকরণ কার্যক্রমে খুব একটা সাফল্য আসেনি। এমনকি ধূমপান নিয়ন্ত্রণের যে কয়টি বিশেষ পদ্ধতি ট্যাক্স, স্বাস্থ্য সতর্কবাণী, কাউন্সিলিং ও বিজ্ঞাপন বন্ধ করা কোনোটিই সঠিকভাবে কার্যকর হয়নি।
সম্প্রতি জারিকৃত বিধিতে দেখা যায়, তামাকজাতদ্রব্যের প্যাকেট, মোড়ক, কার্টন বা কৌটার উভয় পার্শ্বের ন্যূনতম অর্ধেক স্থানজুড়ে রঙিন ছবি ও লেখা সংবলিত স্বাস্থ্য সতর্কবাণী প্রদান করার কথা বলা হয়েছে। ধূমপানের কারণে গলায় ও ফুসফুসে ক্যান্সার হয়, শ্বাস-প্রশাসে সমস্যা, স্ট্রোক, হৃদরোগ এবং ধূমপান ও পরোক্ষ ধূমপানে গর্ভের সন্তানের ক্ষতির বিষয়গুলো লেখার নির্দেশ আছে বিধিমালায়।
এছাড়া ধোঁয়াবিহীন তামাকজাতদ্রব্যের সেবনে মুখে ও গলায় ক্যান্সার এবং গর্ভের সন্তানের ক্ষতি হয়Ñ এ সম্পর্কিত সতর্কবাণী প্রচার করার নির্দেশ রয়েছে। বিধি অনুযায়ী, মোড়কে ‘শুধুমাত্র বাংলাদেশে বিক্রয়ের জন্য অনুমোদিত’ লেখা না থাকলে কোনো তামাকজাতদ্রব্য বিক্রয় করা যাবে না।
পাশপাশি জণস্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ও ঝুঁকি সম্পর্কে একটি ভ্রান্ত ধারণা তৈরির উদ্দেশ্যে তামাকজাতদ্রব্যের মোড়কে লাইট, মাইল্ড, লো-টার, এক্সট্রা, আল্ট্রা শব্দ ব্যবহার করা যাবে না।
আইনে উৎপাদিত প্রতিটি ব্র্যান্ডের তামাকজাতদ্রব্যের প্যাকেট বা মোড়কে এ সতর্কবাণী এবং সংশ্লিষ্ট ছবিসমূহ প্রতি তিন মাস পর পর পরিবর্তন করার কথা রয়েছে। সচিত্র সতর্কবাণী এমনভাবে ছাপতে হবে, যাতে তা স্ট্যাম্প বা ব্যান্ডরোল সংযুক্তির বা অন্য কোনো কারণে ঢেকে না যায়। সরকার সর্বোচ্চ ২ বছর পর পর ছবি ও সতর্কবাণীসমূহ পুনর্মূল্যায়ন করে প্রয়োজনে নতুন ছবি ও সতর্কবাণী অন্তর্ভুক্ত করতে পারবে বলেও বিধিমালায় বলা হয়েছে।
জানা যায়, এফসিটিসি (তামাক নিয়ন্ত্রণ কনভেনশন) স্বাক্ষর জনস্বাস্থ্যে বাংলাদেশের একমাত্র চুক্তি। জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর ধূমপান ও তামাকজাতদ্রব্যের ব্যবহারকে নিরুৎসাহিত করতে ২০০৩ সালের ১৬ জুন এফসিটিসি স্বাক্ষর করে বাংলাদেশ। ২০০৪ সালের ১০ মে এতে অনুস্বাক্ষরও করা হয়।
এ চুক্তির কারণে সরকারের জন্য জরুরি হয়ে পড়েছেÑ তামাক পুনর্বাসন কেন্দ্র নির্মাণ, ধূমপান ও তামাকজাতদ্রব্যের প্রচারণা নিষিদ্ধ করা, অপ্রাপ্ত বয়স্কদের কাছে বিক্রি নিষিদ্ধ করা এবং করারোপের মাধ্যমে তামাকের নিয়ন্ত্রণ করা। এফসিটিসিতে স্বাক্ষরকারী অধিকাংশ দেশ এসব আইন বাস্তবায়ন করলেও বাংলাদেশ এখনো অনেক পিছিয়ে।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বাংলাদেশের ৪৩ শতাংশ (৪ কোটি ১৩ লাখ) প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ তামাক ব্যবহার করে। ধূমপান ও তামাকজাতদ্রব্যের ব্যবহারে যা বিশ্বের শীর্ষে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বিশ্বে প্রতি বছর ৬০ লাখ মানুষ তামাক ও তামাকজাতদ্রব্যের ব্যবহারে মৃত্যুবরণ করছে। যার মধ্যে পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হয়ে মারা যায় ৬ লাখ মানুষ। তাই এখনই তামাকজাতদ্রব্য নিয়ন্ত্রণে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হলে ২০৩০ সাল নাগাদ এ কারণে মৃত্যুর সংখ্যা ৮০ লাখে দাঁড়াবে। যার ৮০ শতাংশই বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোর। পাশাপাশি এই ধারা অব্যাহত থাকলে এই শতকে শতকোটি মানুষ মারা যাবে। এর মধ্যে বেশিরভাগই মধ্যবয়সী।
এদিকে, তামাক ব্যবহারকারীদের মধ্যে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা বেশি যারা ‘বিড়ি’ সেবন করেন। যে কারণে যক্ষ¥া রোগে মৃত্যুর হারের দিক থেকে বাংলাদেশ বিশ্বে ৬ষ্ঠ আমাদের দেশে বছরে ৭০ হাজার মানুষ যক্ষ¥া রোগে মারা যায়। ধূমপান যক্ষ¥া রোগের মৃত্যুঝুঁকি অনেক বাড়িয়ে তোলে এমনই অভিমত চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের।
দেশে পরিচালিত অপর এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, বাংলাদেশে প্রতি বছর ৯৫ হাজার মানুষ তামাকজনিত বিভিন্ন রোগে মৃত্যুবরণ করছে। এমনকি অন্য একটি গবেষণায় ওঠে এসেছে, দেশে প্রতি বছর প্রায় দেড় লাখ মানুষ মারা যাচ্ছে তামাকজনিত কারণে।
গ্লোবাল অ্যাডাল্ট টোবাকো সার্ভে অনুযায়ী, বিশ্বের ৪ শতাংশ তামাক ব্যবহারকারী বাংলাদেশে। এ হিসেবে প্রতি বছর ২ লাখ মানুষ মৃত্যুবরণ করছে। দিনে যা ৪০০ জন। তবে ২০০৪ সালে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার গবেষণায় প্রতি বছর মৃত্যুর পরিমাণ ছিল ৫৭ হাজার।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত বলেন, তামাকজাতদ্রব্যের মোড়কে সচিত্র সতর্কবাণী থাকলে সেবনকারীদের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে সচেতন করা সম্ভব। একটি ছবি হাজার শব্দের চেয়ে শক্তিশালী। পাশপাশি ভয়ঙ্কর এসব সচিত্র সতর্কবার্তা সংবলিত সিগারেটের প্যাকেট চোখ শিশুরা ভয় পাবে বলে তামাকসেবীরা তা বাসায়ও নিয়ে যেতে পারবে না। এতে সিগারেটসহ তামাকের ব্যবহার কমবে।
গবেষণায় দেখা গেছে, তামাকজাতদ্রব্যের মোড়কে স্বাস্থ্য ক্ষতির ছবি সেবনকারীকে তামাক ব্যবহার থেকে বিরত রাখে। এছাড়া আমাদের দেশের নিরক্ষর মানুষই বেশি ধূমপান করে। তারা পড়তে জানে না। ছবি থাকলে তারা তামাকের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে ভালোভাবে বুঝতে পারবে।
বাংলাদেশে বর্তমানে সিগারেটের প্যাকেটে ও বিজ্ঞাপনে ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকরÑ এ সর্তকবাণী প্রদান করছে। যা মানুষের কোনো কাজেই আসে না। কারণ বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, বেশির ভাগ ধূমপায়ী তামাকের কারণে কোন কোন রোগ হয় তা জানেই না। তাই প্যাকেটে কোন কোন রোগ হয় তা লেখা ও এসবের ছবি থাকা দরকার।
দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশে ছবিসহ সতর্কবাণী প্রদান করা হলেও এক্ষেত্রে পিছিয়ে শুধু বাংলাদেশ। শ্রীলংকা, নেপাল, পাকিস্তান, ভারতসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে তামাকজাতদ্রব্যের মোড়কে ছবিসহ সতর্কবাণী প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া কানাডা, ব্রাজিল, সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়া এবং থাইল্যান্ডে সিগারেটের প্যাকেটে শতভাগ সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কীকরণ বাণীর ব্যবস্থা করেছে। টোব্যাকো ফ্রি কিড্সের বাংলাদেশ প্রতিনিধি তাইফুর রহমান বলেন, বাংলাদেশের তুলনায় দক্ষিণ এশিয়ার সব দেশই তামাক নিয়ন্ত্রণে এগিয়ে। এবছরের প্রথম দিকে পাকিস্তান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন পাস করেছে, গত ৩০ মার্চ থেকে তামাকজাতদ্রব্যের মোড়কের উভয় পাশের ৮৫ শতাংশ অংশে ছবিসহ সতর্কবাণী প্রদান করেছে। গত ১ এপ্রিল থেকে একই রকম আইন কার্যকর করছে ভারত। দক্ষিণ এলাকার নেপাল শক্তিশালী তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন পাস করছে এবং আগামী ১৫ মে থেকে তামাকজাতদ্রব্যের মোড়কে ৯০ শতাংশ অংশে ছবিসহ সতর্কবাণী প্রদান করছে। শ্রীলংকা আগামী ১ জুন থেকে তামাকজাতদ্রব্যের মোড়কে ৮০ শতাংশ অংশে ছবিসহ সতর্কবাণী প্রদান করবে। বাংলাদেশে সম্প্রতি তামাক নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা প্রণয়ন হওয়ায় আগামী বছরের ১৫ মার্চের পর থেকে এটি বাধ্যতামূলক হয়ে যাবে। তবে এতদিন তামাক কোম্পানির কূটকৌশলে এটি বাস্তবায়িত হয়নি বলে উল্লেখ করেন তিনি।
এছাড়াও গবেষণায় দেখা গেছে, বহুজাতিক তামাক কোম্পানিগুলো আমাদের দেশে যে ধরনের সিগারেটের প্যাকেট ব্যবহার করতে পারে, তা পৃথিবীর অনেক উন্নত দেশে ব্যবহার করতে পারে না। একই ব্যান্ডের সিগারেটের প্যাকেটে অনেক উন্নত দেশে ছবিসহ সতর্কবাণী প্রদান করতে হয়। উন্নত দেশ অপেক্ষা আমাদের শিক্ষার হার কম থাকা সত্ত্বেও আমাদের দেশে তাদের স্বাস্থ্য সতর্কবাণী খুবই দুর্বলভাবে উপস্থাপন করে। আমাদের দেশের জন্য উপযোগী স্বাস্থ্য সতর্কবাণী ব্যবহার করা উচিত। তবে এ দায়িত্ব অবশ্যই তামাক কোম্পানিকে প্রদান করা যাবে না। আইনে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ এবং সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কঠোর মনিটরিংয়ের মাধ্যমে এ বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।
ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের চিকিৎসক প্রফেসর ডা. সোহেল রেজা চৌধুরী বলেন, তামাকজাতদ্রব্যের মোড়কে ছবিসহ সতর্কবাণী খুবই জরুরি। কারণ, বাংলাদেশে বর্তমানে ৫৭ হাজার ধূমপায়ী হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, ক্যান্সারসহ তামাকজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছে।
মানুষকে তামাকের ক্ষতিকর বিষয়ে সচেতন করতে তামাকজাতদ্রব্যের মোড়কে ছবিসহ সতর্কবাণী প্রদান পৃথিবীতে সর্বাধিক গ্রহণযোগ্য ও কার্যকর হিসেবে প্রমাণিত। তামাকের ব্যবহার কমানোর মাধ্যমে হাজার হাজার মানুষের জীবনরক্ষা করতে ছবিসহ সতর্কবাণী প্রদানের বিকল্প নেই বলে অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি।
দি ইন্টারন্যাশনাল এগেইনেস্ট টিভি অ্যান্ড লাং ডিজিজ (দি ইউনিয়ন)-এর জনস্বাস্থ্যবিষয়ক পরামর্শক ইশরাত চৌধুরী বলেন, আমরা যখন মানুষের জীবন বঁাঁচানোর স্বপ্ন দেখি, তখন তামাক কোম্পানি তাদের লাভ কমে যাওয়ার ঝুঁকি দেখে। তামাকজাতদ্রব্যের মোড়কে ছবিসহ সতর্কবাণী প্রদান বিলম্বের কারণে প্রতিদিনই শিশুদের তামাকের নেশায় ধাবিত করার সুযোগ পাচ্ছে সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলো। তিনি বলেন, তামাক কোম্পানিগুলো জানে তামাকজাতদ্রব্যের মোড়কে ছবিসহ সতর্কবাণী প্রদান করা হলে ধূমপায়ী, বিশেষত তরুণদের মধ্যে এর প্রভাব পড়বে।
উৎপাদিত প্রতিটি ব্র্যান্ডের তামাকজাতদ্রব্যের প্যাকেট বা মোড়ক আইনে এ সতর্কবাণী এবং সংশ্লিষ্ট ছবিসমূহ প্রতি তিন মাস পর পর পরিবর্তন করতে হবে। সচিত্র সতর্কবাণী এমনভাবে ছাপতে হবে যাতে তা স্ট্যাম্প বা ব্যান্ডরোল সংযুক্তির বা অন্য কোনো কারণে ঢেকে না যায়। সরকার সর্বোচ্চ ২ বছর পর পর ছবি ও সতর্কবাণীসমূহ পুনর্মূল্যায়ন করে প্রয়োজনে নতুন ছবি ও সতর্কবাণী অন্তর্ভুক্ত করতে পারবে বলেও বিধিমালায় বলা হয়েছে।

Source: Dailyinqilab,25-04-2015

About Tobacco Industry Watch

House 6 (3rd Floor, East Side), Main Road 3, Block A, Section 11, Mirpur, Dhaka-1216
Tel: +88-02-9005553, Fax : +88-02-8060751,
URL : www.tobaccoindustrywatchbd.org, Skype ID: progga.bd

Email: progga.bd@gmail.com, info@tobaccoindustrywatchbd.org