Sun Sun Sun Sun
E-newsletter: April 2020
 

জনস্বাস্থ্য সবার উপরে Public Health On Top

মৃত্যু বিপণন-১ Death Marketing-1

মৃত্যু বিপণন-২ Death Marketing-2

Death Marketing Around

 

মৃত্যু বিপণন-২

মানুষ মরুক, তবু করবৃদ্ধি নয়: জনস্বাস্থ্যের সাথে বিড়ি ব্যবসায়ীদের ভন্ডামি!

প্রতি বছরের ন্যায় এবারও বাজেটের আগে সাংসদদের একটি অংশ, কিছু শ্রমিক নেতা এবং সুবিধাভোগী গোষ্ঠী বিড়ি শ্রমিক হিতৈষী হয়ে উঠেছেন। তারা দাবি করছেন এই করোনা সংকটের মধ্যে বিড়ির কর বাড়ানো হলে বিড়ি কারখানা বন্ধ হয়ে যাবে এবং ২৫ থেকে ৩০ লক্ষ শ্রমিক বেকার হয়ে পড়বে। এসব মিথ্যা দাবির পক্ষে জনসমর্থন যোগাড় করার জন্য তারা কিছু সংখ্যক বিড়ি শ্রমিককে অর্থের বিনিময়ে আন্দোলনে নামিয়ে দিচ্ছে। শ্রমিক সংখ্যা নিয়ে যে কাল্পনিক তথ্য বিড়ি সুবিধাভোগীরা বছরের পর বছর দিয়ে আসছেন, তা খোদ জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনে মিথ্যা বলে প্রমাণিত হয়েছে। বাস্তবতা হচ্ছে, বাংলাদেশে বিড়ি শিল্পে কর্মরত নিয়মিত, অনিয়মিত এবং চুক্তিভিক্তিক মিলিয়ে পূর্ণসময় কাজ করার সমতুল্য শ্রমিক সংখ্যা মাত্র ৪৬,৯১৬ জন। বিড়ি শিল্পের কাজ অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং মজুরিও খুব কম (মাসিক গড় আয় মাত্র ১.৯৭২ টাকা)। একজনের আয়ে সংসার চালানো প্রায় অসম্ভব। তাই অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পরিবারের শিশু, নারীসহ সকলকেই বিড়ি তৈরির কাজে সম্পৃক্ত হতে হয়। অপর এক গবেষণায় দেখা গেছে উত্তরাঞ্চলের যে জেলাগুলোতে প্রচুর পরিমাণে তামাক জন্মায় (বিশেষত রংপুর এবং লালমনিরহাট), সেখানকার দারিদ্র্যপীড়িত পরিবারগুলোর শিশুদের সস্তাশ্রমের ওপর নির্ভর করেই টিকে আছে বিড়ি শিল্প এবং এই বিড়ি কারখানাগুলোর ৬০-৬৫ ভাগ শ্রমিকই শিশু। সুতরাং এধরনের অমানবিক শ্রমনির্ভর মৃত্যুবিপণন কার্যক্রম উৎসাহিত না করে বরং এসব পণ্যের দাম বাড়িয়ে ব্যবহার নিরত্সাহিত করা অত্যন্ত জরুরি।